টেম্বা বাভুমা আর এইডেন মার্করাম একটু একটু করে তাঁদের টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বহু বছরের আরাধ্য সেই ‘চ্যাম্পিয়ন’ তকমার দিকে। যদিও নামটা দক্ষিণ আফ্রিকা বলেই যা ভয়। তবে আজ ২ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রানটা যখন ৬৯–এ নেমে এসেছে আর হাতে আছে ৮ উইকেট, চাপে ভেঙে পড়ার ভয়টাও বাদ দেওয়াই যায়!
লর্ডসের উইকেট এমনিতে তৃতীয় দিনেও ব্যাটিং করার জন্য ভালো। আজ কতটা ভালো ছিল, এর একটা প্রমাণ হতে পারে কাল সকালে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। নাথান লায়নকে (১) নিয়ে দিনটা শুরু করেছিলেন আগের দিন ১৬ রানে অপরাজিত মিচেল স্টার্ক। দিনের তৃতীয় ওভারেই রাবাদা লায়নকে ফিরিয়ে দিলেও এরপর স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড শেষ উইকেট জুটিতে ২২.২ ওভার ব্যাটিং করে যোগ করে ফেলেন ৫৯ রান।
আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে শেষ উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব মিলিয়েই লর্ডসে অতিথি কোনো দলের দশম উইকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ। ৫৩ বলে ১৭ রান করা হ্যাজলউডের আউটে শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। স্টার্ক তখন ১৩৬ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত। ৯ নম্বরে নেমে এটি তাঁর অষ্টম ফিফটি। টেস্ট ইতিহাসে নয় বা তার নিচে নামা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফিফটি করার রেকর্ডটা আগেই তাঁর ছিল। সেটিকে আরেকটু বাড়িয়ে নিলেন এই বাঁহাতি।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ২০৭ রান, প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় তাই ২৮২ রানের। যেকোনো ম্যাচেই তা বড় লক্ষ্য, ফাইনালে তো আরও বেশি। তবে একটা রেকর্ড থেকে হয়তো অনুপ্রেরণা খুঁজে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট ক্রিকেটে যে পাঁচবার ২৫০ রানের বেশি তাড়া করে জেতার কীর্তি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার, তার তিনবারই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এর মধ্যে ২০০৮ সালে পার্থে সর্বশেষটি জিতেছিল তারা ৪১৪ রান তাড়া করে।
আজ তৃতীয় ওভারেই ওপেনার রায়ান রিকেলটন আউট হয়ে যাওয়ার পর মুল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েছেন মার্করাম। ওই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তাঁর পরের সঙ্গী টেম্বা বাভুমাও। ২ রানেই অবশ্য ক্যাচ দিয়েছিলেন, স্লিপে যা ফেলে দেন স্টিভ স্মিথ। জীবন পাওয়ার পর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েই লড়াই চালিয়ে গেছেন বাভুমা (৬৫*), টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করা মার্করাম অপরাজিত আছেন ১০২ রানে। আর বাভুমার ক্যাচ ফেলে দেওয়ার সময় আঙুলে চোট পাওয়া স্মিথকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে কিছুদিন।