২৭ বছরের অপেক্ষা ঘুচালো দক্ষিণ আফ্রিকা

তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরিয়ান মার্করামের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ফাইনালের ফলটা নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল অনেকটা। জয়ের দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিল টেম্বা বাভুমার দল। চতুর্থ দিনে এসে সেই আনুষ্ঠানিকতাটুকুই শেষ করল তারা দাপটের সঙ্গে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের মাটিতে মিনি বিশ্বকাপ জয়ের পর এই প্রথম বৈশ্বিক শিরোপার স্বাদ পেল প্রোটিয়া। তার সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নিজেদের চোকার্স বদনামটা ঝেড়ে ফেললো আফ্রিকান দলটি।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়তে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৬৯ রান। ২ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসের ফাইনালের চতুর্থ দিনে এসে লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেলল তারা দারুণ ধৈর্য আর দক্ষতায়। শুরুতে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ফিরে যান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তবে ব্যাট হাতে বুক চিতিয়ে লড়াই করে যান মার্করাম। ডেভিড বেডিংহ্যামের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নেন। ১৪ বাউন্ডারিতে ২০৭ বলে ১৩৬ রানের দুর্বার ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দুয়ারে রেখে ফিরে যান তারকা এ ওপেনার। জয় ছিনিয়ে নিওয়ার বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেন ডেভিড বেডিংহ্যাম (২১*) ও কাইল ভেরেনে (৪*)। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান তুলে জয়ের উৎসবে মাতে প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। একটি করে উইকেট পান জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স।প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রান গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লিড ছিল ৭৪ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রানের পুঁজি গড়ে অজিরা। সে সুবাদে জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে ২৮২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় প্যাট কামিন্সরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া : প্রথম ইনিংস ২১২ ও দ্বিতীয় ইনিংস ২০৭ (স্টার্ক ৫৮*, ক্যারি ৪৩; রাবাদা ৪/৫৯ ও এনগিডি ৩/৩৮)।

দক্ষিণ আফ্রিকা : প্রথম ইনিংস ১৩৮ ও দ্বিতীয় ইনিংস ২১৩/২ (মার্করাম ১৩৬, বাভুমা ৬৬; স্টার্ক ৩/৬৬)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

dsjourneybd.com

dsjourneybd.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *