শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ-২০২৫ ব্যাচের ৪৬৩ জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ।
এ উপলক্ষ্যে রোববার পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত মনোমুগ্ধকর এই কুচকাওয়াজে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর এ-২০২৫ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. গালিব আল মাহাদী অর্ণব পেশাগত ও সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ উৎকর্ষতা অর্জন করে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করে।
মো. হাসিব হোসেন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. নাঈম গাজী তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ অর্জন করে।
প্রধান অতিথি তার ভাষণে, স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। সেইসাথে তিনি স্মরণ করেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের। যাদের আত্মত্যাগে দেশের স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা সমুন্নত হয়েছে।
তিনি দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন নাবিকসহ সকল নৌসদস্যকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রায় সকল নৌসদস্যদের অকৃত্রিম দেশপ্রেম, নিরলস প্রচেষ্টা এবং পেশাগত উৎকর্ষতার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নবীন নাবিকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা অর্জন করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ইন-এইড-টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, জনগণের জানমাল, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানে নিয়োজিত থাকায় তিনি নৌবাহিনীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসওগণ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।