সাকিব রিশাদের লাহোর ফাইনালে

লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ আজও ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আজ রিশাদ হোসেনকেও একাদশে রাখে লাহোর। তাঁর ওপর আস্থার প্রতিদান রিশাদ দারুণভাবেই দিয়েছেন। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সাকিব যখন ব্যাট ও বল হাতে ব্যর্থ, লাহোরকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছেন রিশাদ।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২ রান তোলে লাহোর। রান তাড়া করতে নেমে শাহিন আফ্রিদি, সালমান মির্জার গতি আর রিশাদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। ১৫.১ ওভারে ১০৭ রানে অলআউট হয় ইসলামাবাদ। ম্যাচটি হেরেছে তারা ৯৫ রানে। শাহিন, সালমান ও রিশাদের তিনজনই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট।

ইসলামাবাদের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন শাহিন আফ্রিদি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই পাকিস্তানি পেসার তুলে নেন মোহাম্মদ শেহজাদকে। পরের ওভারে সালমান ফেরান শাহিবজাদা ফারহানকে। এরপর দ্রুতই র‌্যাসি ফন ডার ডুসেন ও ইমাদ ওয়াসিমকে ফিরিয়ে ইসলামাবাদকে কোণঠাসা করে দিন সালমান। ৩ উইকেট নিতে ১৬ রান দিয়েছেন তিনি।

সালমানের পর ইসলামাবাদের ইনিংস ধসিয়ে দেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ইসলামাবাদের ইনিংস গড়ছিলেন সালমান আগা ও শাদাব খান। ১৬ রানের মধ্যে দুজনকেই ফেরান রিশাদ। এরপর জিমি নিশামকেও আউট করে লাহোরকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে যান তিনি। ৩ উইকেট নিতে রিশাদ দিয়েছেন ৩৪ রান।

সালমান-রিশাদের পর বাকি কাজটুকু করেন আফ্রিদি। ইসলামাবাদের শেষ দুটি উইকেট নেন পাকিস্তানি পেসার। সব মিলিয়ে ৩ উইকেট নিতে তিনি দিয়েছেন মাত্র ৩ রান।

এর আগে লাহোরকে দুই শ পেরোনো স্কোর এনে দিতে ভূমিকা ছিল মোহাম্মদ নাঈম ও কুশল পেরেরার দুটি ফিফটির। নাঈম ২৫ বলে ৫০ রান করেছেন সাতটি চার ও দুটি ছয়ে। আর শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা আউট হয়েছেন ৩৫ বলে ৬১ রান করে। তিনিও সাতটি চার আর দুটি ছয় মেরেছেন। সাকিব আল হাসান আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ বল খেলে কোনো রান পাননি। রিশাদ নয় নম্বরে নেমে ২ বল খেলে এক চারে ৫ রান করে রানআউট হয়েছেন।

dsjourneybd.com

dsjourneybd.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *